"সতর্কতার জন্য এই পোস্ট" 🚫🚫
হ্যালো আসসালামু আলাইকুম। সবাই কেমন আছেন? আমাদের আশেপাশে প্রতিনিয়ত এমন কিছু ঘটনা ঘটে যা দেখলে বা শুনলে মনে হবে এটা স্বপ্ন বা দুস্বপ্ন। কিন্তু বাস্তবে তা সত্যি ঘটনা। এমন ঘটনা থেকে আমরা যদি কিছু শিক্ষা নিয়ে সতর্ক হতে পারি, তাহলে আসন্ন বিপদ থেকে নিজেকে বা পরিবারকে রক্ষা করতে পারি।আমি আমার নিজের জীবনে দেখা বা শুনার কিছু সত্যি ঘটনা আপনাদের সাথে পর্যারক্রমে শেয়ার করতে চাই। আশা করি সবাই পজেটিভ ভাবেই নিবেন। আর নেগেটিভ ভাবে নিলেও কোন সমস্যা নেই আমার। আমি চাই সবাই যেন আমার পোস্ট পড়ে।
"গল্প নয় সত্যি "
আমি আগের পোস্টে বলেছিলাম যে আমার বর
NGO তে চাকুরী করে। তিনি আমাকে এসে ঘটনাটি বলেছেন। তা আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করছি।
বরের অফিসে এডমিনে একজন মেয়ে কলিগ আছে। ঘটনাটি তার বড় বোনের বাসার। সেই কলিগের বড় বোন আর দুলাভাই ও চাকুরী করে। আর তাদের একটি বাচ্চা ও আছে। যেহেতু দুজনেই চাকরী করে তাই বাচ্চা দেখাশোনা করা ও বাসার কাজের জন্য তারা একজন স্হায়ী কাজের মানুষ খোজ করছিলেন। আর যে বাসায় তারা থাকেন সে বাসার দারোয়ানের সহায়তায় একজন মধ্য বয়স্ক কাজের লোক ও পেলেন। চাকরী, বাচ্চা, কাজের লোক আর সংসার সব মিলিয়ে তাদের ভালই চলছিল। ঐ কাজের মহিলা টি প্রায় এক বছরের কাছাকাছি হয়ে গেল এই বাসায় থাকছে। আর মহিলাটি যখন এই বাসায় আসে তখন বাচ্চার বয়স ছিল প্রায় ছয় মাস। আর এখন সেই হিসেবে বাচ্চার বয়স এখন দেড় বছরের মতো প্রায়।
এর মাঝে বাচ্চার মা বাবা খেয়াল করলো বাচ্চাটি প্রায় সময় অসুস্থ থাকে। আর খুব বেশী ঘুমাতো। এত ঘুম সাধারণত এই বয়সের বাচ্চাদের যাবার কথা নয়। আর খাওয়া দাওয়া ও খুব কম করতো। যার জন্য স্বাস্থ্য ছিলো খুবই খারাপ। এই বয়সে বাচ্চারা যেভাবে ছুটাছুটি করে বা খেলাধুলা করে কিংবা দুস্টামি করে এই বাচ্চা এই স্বাভাবিক কাজগুলো কিছুই করতোনা। উনারা এই জন্য বিভিন্ন জায়গায় অনেক ডা. ও দেখিয়েছিলেন। কিন্তু তেমন কোন সমস্যা ধরা পরেনি আর তার জন্য তেমন কোন উন্নতি ও হয়নি এইভাবে আরো কিছু দিন গেল। এর মাঝে বাচ্চাটি একদিন রাতে অনেক অসুস্থ হয়ে পড়লো। বাচ্চাটিকে একটি বেসরকারি হাসপতালে ভর্তি করা হলো। অনেক পরীক্ষা নিরীক্ষা করা শুরু হলো। এদিকে বাচ্চারর অবস্থা আরো খারাপ হতে লাগলো। ডা. বললেন আল্লাহকে ডাকেন আর আমরা তো চেষ্টা করছি।
NGO তে চাকুরী করে। তিনি আমাকে এসে ঘটনাটি বলেছেন। তা আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করছি।
বরের অফিসে এডমিনে একজন মেয়ে কলিগ আছে। ঘটনাটি তার বড় বোনের বাসার। সেই কলিগের বড় বোন আর দুলাভাই ও চাকুরী করে। আর তাদের একটি বাচ্চা ও আছে। যেহেতু দুজনেই চাকরী করে তাই বাচ্চা দেখাশোনা করা ও বাসার কাজের জন্য তারা একজন স্হায়ী কাজের মানুষ খোজ করছিলেন। আর যে বাসায় তারা থাকেন সে বাসার দারোয়ানের সহায়তায় একজন মধ্য বয়স্ক কাজের লোক ও পেলেন। চাকরী, বাচ্চা, কাজের লোক আর সংসার সব মিলিয়ে তাদের ভালই চলছিল। ঐ কাজের মহিলা টি প্রায় এক বছরের কাছাকাছি হয়ে গেল এই বাসায় থাকছে। আর মহিলাটি যখন এই বাসায় আসে তখন বাচ্চার বয়স ছিল প্রায় ছয় মাস। আর এখন সেই হিসেবে বাচ্চার বয়স এখন দেড় বছরের মতো প্রায়।
এর মাঝে বাচ্চার মা বাবা খেয়াল করলো বাচ্চাটি প্রায় সময় অসুস্থ থাকে। আর খুব বেশী ঘুমাতো। এত ঘুম সাধারণত এই বয়সের বাচ্চাদের যাবার কথা নয়। আর খাওয়া দাওয়া ও খুব কম করতো। যার জন্য স্বাস্থ্য ছিলো খুবই খারাপ। এই বয়সে বাচ্চারা যেভাবে ছুটাছুটি করে বা খেলাধুলা করে কিংবা দুস্টামি করে এই বাচ্চা এই স্বাভাবিক কাজগুলো কিছুই করতোনা। উনারা এই জন্য বিভিন্ন জায়গায় অনেক ডা. ও দেখিয়েছিলেন। কিন্তু তেমন কোন সমস্যা ধরা পরেনি আর তার জন্য তেমন কোন উন্নতি ও হয়নি এইভাবে আরো কিছু দিন গেল। এর মাঝে বাচ্চাটি একদিন রাতে অনেক অসুস্থ হয়ে পড়লো। বাচ্চাটিকে একটি বেসরকারি হাসপতালে ভর্তি করা হলো। অনেক পরীক্ষা নিরীক্ষা করা শুরু হলো। এদিকে বাচ্চারর অবস্থা আরো খারাপ হতে লাগলো। ডা. বললেন আল্লাহকে ডাকেন আর আমরা তো চেষ্টা করছি।
পরে পরীক্ষার রিপোর্ট এ হাতে পাবার পর আরেক দুশ্চিন্তায় পড়লেন ডাক্তাররা। কারণ বাচ্চার রক্তে এমন অস্বাভাবিক কিছু পেয়েছেন তা এই বয়সের বাচ্চার শরীরে পাওয়ার কথা না। ডাক্তাররা বাচ্চাটির মা বাবাকে যা বললেন তা শুনে তো তাদের অবস্থাও খারাপ হয়ে গেল। ডাক্তার বললো এই বাচ্চাকে দীর্ঘ দিন ধরে পুশ করে বা খাওয়ার সাথে মিশিয়ে ঘুমের ঔষধ দেয়া হতো। যার দীর্ঘমেয়াদী এফেক্টের কারণে আজ বাচ্চা এত অসুস্থ হয়ে পড়েছে। ঔষধের পরিমান এমন অল্প করে দিত যেন বাচ্চাটি কয়েক ঘন্টা ঘুমিয়ে থাকতো। কিন্তু মা বাবা তো দেখছে বাচ্চাটির ঘুম স্বাভাবিক ছিলনা। যাক সমস্যা যেহেতু ধরা পড়েছে তাই ডাক্তাররা চিকিৎসা ও শুরু করলো।
এখন ঘটলো আসল ঘটনা। বাচ্চাটির মা বাবা তো ভেবেই কুল পাচ্ছেনা এ কি করে সম্ভব। বাচ্চা নিয়ে তারা এত টেনশনে ছিল তারা কয়েকদিন বাসায় ও আসেনি। সেদিন বাচ্চা রেখে তারা বাসায় আসলো। এসে দেখে বাসার কাজের মহিলাটি নাই। আর কাউকে কিছু বলেও যায়নি। দারোয়ান ও জানেনা কোথায় গেছে। তার মানে বুঝলো পালিয়েছে। আর তাদের ও বুঝতে বাকী রইলোনা যে বাচ্চা কেন অসুস্থ হয়েছে। মহিলার ঠিকানায় গিয়ে পাওয়া গেলনা কারণ সব তথ্য মিথ্যা দেয়া ছিল। তাই তারা পুলিশের কাছে গেল। যেহেতু দারোয়ান এনে দিয়েছিল তাই পুলিশ আগে ওকেই ধরলো। থানায় নিয়ে কয়েক ঘা দেবার পর দারোয়ান যা বললো তা শুনে তো সবার চক্ষু চড়কগাছ। দারোয়ান বললো কাজের মহিলাটি হলো ঢাকায় যে ভিক্ষা ব্যবসা হয় তার সদস্য। প্রতিদিন বাচ্চটির মা বাবা কাজের জন্য বেড়িয়ে গেলে বাচ্চাটিকে ঘুমের ঔষধ দিয়ে পুরানো জামা পরিয়ে বাচ্চা নিয়ে ভিক্ষা করতে বের হতো। আর বিকাল বেলায় অফিস টাইম শেষ হবার আগেই বাসায় চলে আসতো। এসে বাচ্চাকে গোসল করিয়ে পরিস্কার করে রাখতো। আর এই কাজে দারোয়ান ওকে সাহায্য করতো। বিনিময়ে দারোয়ান টাকার ভাগ পেত। ঐ মহিলাকে আর খুজে পাওয়া যায়নি। আর দারোয়ানটাও লকাপে আছে। বাচ্চাটাকে অনেকদিন হাসাপাতালে থাকতে হয়েছে সুস্থ হবার জন্য। এখন আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছে।
বাসায় স্হায়ী কাজের লোক রাখার আগে সবাই একটু ভালো করে খোঁজখবর নিয়ে নিবেন। আর একটা পরিবার ও যেন এমন ভয়ংকর বিপদে না পড়ে।
এত বড় পোস্ট পড়ার জন্য ধন্যবাদ।
এত বড় পোস্ট পড়ার জন্য ধন্যবাদ।
লিখা : Aeysha Shiddhiqua Tania
Eisha Akter Eshita
Volunteer
Chittagong Division
Volunteer
Chittagong Division
কোন মন্তব্য নেই