বৃষ্টি ভেজা অঘটন
Oronno Imtiaz: বের হয়েছি দুপুরে, আমি আর খান। গন্তব্য বঙ্গবাজার, তারপর সোয়ারিঘাট হয়ে বুড়িগঙ্গার ওপার। বঙ্গবাজার থেকে কাজ শেষ করে যখন সোয়ারিঘাটের দিকে যাত্রা করেছি তখন আকাশ বেশ মেঘলা। কালো মেঘ দেখে ধারণা হলো বেশ ভালো বৃষ্টি হবে, খান বললো চল বৃষ্টিতে ভিজবো আজ। ভেবে দেখলাম এখন বৃষ্টি শুরু হয়ে যদি ঘন্টাখানেক থাকে তাহলেও ভেজা কাপড় আর ভেজা জুতা মোজা নিয়েই চলতে হবে। তবুও সায় দিলাম বৃষ্টিতে ভেজার লোভ বলে কথা, ওসব নিয়ে ভাবলে কি চলে নাকি!!! ভেজা কাপড় নিয়ে থাকতে হলে থাকবো তাতে কি বৃষ্টিতে তো ভেজা হবে। বৃষ্টির অপেক্ষায় হাটা শুরু করলাম (আসলে কোনো রিক্সাচালকই যানজটের কারণে সোয়ারিঘাট যেতে রাজী হচ্ছিল না
😜
😜
😜) হাটতে হাটতে যখন নয়াবাজার মোড়ে পৌঁছালাম তখন একজন রিক্সাচালক অনেক অনুরোধের পর চকবাজার মোড় পর্যন্ত যেতে রাজী হলো। রিক্সায় উঠার পরেই ঝুম বৃষ্টি সাথে একটু পর পর বজ্রপাত। দারুণ উপভোগ্য ছিল আজকের বৃষ্টি, ঝুম বৃষ্টিতে ভেজার মজাই আলাদা। তো যেতে যেতে খান বললো বুড়িগঙ্গায় সাঁতার কেটে তারপর ওপারে যাবে, আমি বললাম অসম্ভব ওই পানিতে আমি নামবো না। ও আমাকে আশ্বস্ত করলো বর্ষার সময় পানি খারাপ থাকে না, কোনও সমস্যা নেই, শেষমেশ রাজী হলাম, নামার আগে একটা সেলফি তুলবো এবং সেই ছবি ফেইসবুকে আপলোড দিতে হবে কারণ ওই পানিতে গোসল করে কোনো রোগ বালাই হলে প্রমাণ থাকবে ওর জন্যেই হয়েছে
😉
😉
😉। তো সোয়ারিঘাট যেহেতু যাওয়া যাচ্ছে না চকবাজার মোড়ে গিয়ে অন্য একটি রিক্সা নিলাম ইসলামবাগ ওয়াসার ঘাটে যাওয়ার জন্য। এতক্ষণে বৃষ্টি অনেক কমে গেছে, টিপটিপ করে পরছে। একটু দূর যাওয়ার পর রাস্তার পাশে ফুচকার দোকান দেখে রিক্সা থামিয়ে দুজনে নেমে গেছি খাওয়ার জন্যে। বৃষ্টির জন্য দুজনের ফোন মানিব্যাগ আর কাগজপত্র একটা পলিথিন ব্যাগে রেখেছিলাম, যা রিক্সার সিটে রেখেই খেতে এসেছিলাম। যখন আমাদের হাতে ফুচকার প্লেট তুলে দিয়েছে তখন মনে হয়েছে তাকে তো টাকা দিতে হবে আর টাকা তো ব্যাগে এবং সেই ব্যাগ রিক্সার সিটে। তাই আনতে যাওয়ার জন্য ঘুরে দেখি ব্যাগ যে রিক্সার সিটে সেই রিক্সাই তো নেই আশেপাশে।






রিক্সাচালক মহোদয় যে, এতোটা বোকা বানাবে ভাবতে পারিনি।
কোন মন্তব্য নেই