পরীক্ষায় বেশী নাম্বার পাওয়ার সহজ কয়েকটি টিপস
ছাত্র জীবনে পরীক্ষা শব্দটি সব ছাত্র-ছাত্রীদের কাছেই অতি পরিচিত। সেই
শিশু শ্রেণীতে ভর্তির পর থেকে পরীক্ষা নামক চক্রটি অবিরাম চলতেই থাকে। তুমি যত ভালো ছাত্র হওনা কেন, পরীক্ষায় যদি ভালো নাম্বার
না পাও তাহলে সবই যেন বৃথা হয়ে যায়। এর উদাহারণ দিতে গেলে আমার এ লেখা কখনো শেষ হবে
না। পরীক্ষায় ভালো নাম্বার পাওয়া আমাদের কাছে যেন এক চরম আরাধ্য। এক্ষেত্রে যে কোনও
বিষয়ের উপর ভালো ধারণা থাকার সাথে সাথে খাতায় কিভাবে উপস্থাপন করতে হবে তা জানা থাকাটিও
আবশ্যক।
চলো তাহলে জেনে নেই পরীক্ষায় ভালো নাম্বার পাওয়ার কয়েকটি সহজ উপায় :-
১। পরিস্কার হাতের লেখা :- হাতের লেখা ভালো হতে হবে এমন কোনো কথা নেই
তবে তা পরিস্কার হতে হবে। বাংলায় একটি প্রবাদ আছে, আগে দর্শণধারী, পরে গুণবিচারী, মানে
হলো প্রথমে দর্শনে ভালো হতে হবে পরে গুণ বিচার। আর তাই পরীক্ষার খাতায় হাতের লেখা পরিস্কার
ও ভালো হলে পরীক্ষার্থীর প্রতি পরীক্ষকের মনে একটি ইতিবাচক ধারণা জন্ম নেয়। যার প্রভাব
সম্পূর্ণ খাতার উপরেই পরে।
২। প্যারা করে লেখা :- উত্তর পত্রে সবসময় চেষ্টা করতে হবে প্যারা আকারে
লেখার জন্য। প্যারা করে লিখলে খাতায় উপস্থাপিত তথ্য ভালোভাবে শিক্ষকের দৃষ্টিগোচর হয়।
উত্তর লেখার সময় পয়েন্টসহকারে প্যারা করে লিখতে হবে আর খেয়াল রাখতে হবে উভয় প্যারার
মাঝে দূরত্ব লাইনের মধ্যবর্তী দূরত্বের দিগুণ হবে।
৩। নানা রংয়ের কালি ও কলম ব্যাবহার :- অনেক পরীক্ষার্থী পরীক্ষায় নানা
রংয়ের কালি ও কলম ব্যাবহার করে থাকে। এতে সময় যেমন নষ্ট হয় তেমনি খাতার উপস্থাপনার
সৌন্দর্যও নষ্ট হয়। তাই এটি কখনোই করা উচিৎ না। মার্জিনের সময় একটি ভালো মানের পেন্সিল
ব্যবহার করলে ভালো হয়।
৪। প্রশ্নপত্র ভালোভাবে পড়া :- পরীক্ষার সময় মাথা ঠান্ডা রেখে পুরো প্রশ্নপত্রটি
একবার মন দিয়ে পড়তে হবে। প্রশ্নে যেমন চেয়েছে তাই বুঝিয়ে লিখতে পারাটা জরুরী। অযথা
এককথা বারবার লিখে উত্তর অপ্রাসঙ্গিক করলে নাম্বার কম পাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তাই প্রশ্ন
ভালোভাবে পড়ে বুঝে উত্তর করা প্রয়োজন।
৫। কখনো কোনো প্রশ্নের উত্তর বাদ দেয়া যাবে না :- পরীক্ষায় খালি খাতা
জমা দিয়ে আসার চেয়ে কিছু লিখে আসা অনেক ভালো। যখন উত্তর জানা নেই তখন তো হারাবার কিছু
নেই, তাই না। খাতা খালি দিয়ে আসলে নিশ্চিত ০ তার চেয়ে কিছু লিখলে হয়তো কিছু পাওয়া যেতেও
পারে।
৬। নিশ্চিত প্রশ্ন সবার আগে :- যেটা পারো, সেইটা সবার আগে উত্তর করো।
যে উত্তর ভালোভাবে পারো না সেইটা ভেবে অযথা সময় নষ্ট করো না।
৭। গাদা গাদা লুজ শিট নেয়ার প্রতিযোগীতা :- অনেকেরই ধারণা থাকে পরীক্ষায়
অনেক লুজ শিট নিয়ে খাতা ভারী করলে নাম্বার বেশী পাওয়া যায়। এই চিন্তা বাদ দিতে হবে।
বাংলা পরীক্ষায় অনেক সময়ে পরীক্ষকেরা পৃষ্ঠা গুনে গুনে নাম্বার দেন কিন্তু সেগুলি বাদে বাকি পরীক্ষায় খাতায় ইনিয়ে বিনিয়ে
লিখলে নাম্বার বেশী নয় কম পাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
৮। আত্মবিশ্বাস :- পরীক্ষার হলে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ যে বিষয়টি তা হলো
আত্মবিশ্বাস। পরীক্ষার আগে তুমি যা যা পড়েছো তা সঠিকভাবে উপস্থাপন করে আসাটাই মাথায়
রাখবে শুধু। আর কিছু নয়। অতিরিক্ত চিন্তা করবে না, যা শিখে গেছ তা যদি অতিরিক্ত চিন্তায়
ভুলে গিয়ে লিখে দিয়ে না আসো তাহলে কোনও লাভ
নেই। পরাশোনা আর পরীক্ষা শব্দ দুটি ওতপ্রোতভাবে জড়িত। একটিকে ছাড়িয়ে আরেকটি কল্পনা
করা যায় না। পরীক্ষার হলে প্রশ্ন দেখে ঘাবড়ে যাওয়া যাবে না। মনে গভীর আত্মবিশ্বাস রাখতে
হবে।
কোন মন্তব্য নেই