শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের জন্য স্মার্ট সমাধান
সঠিক পাঠদান যেখানে মূল প্রতিপাদ্য সেথানে এনালগ পদ্ধতি এখন মৃতপ্রায় ধ্যানধারণা। সঠিক পাঠদান নিশ্চিত করতে হলে অভিভাবক, শিক্ষক ও ছাত্রের সাথে যথোপযুক্ত যোগাযোগ থাকা খুবই জরুরি। আর অভিভাবককে সঠিক ও সুস্পষ্ট তথ্য সরবরাহ করতে হলে একটা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের থাকা উচিত একটা ওয়েব পোর্টাল, শিক্ষক অভিভাবক ছাত্র-ছাত্রী কুইক পার্সোনাল ম্যাসেজিং পদ্ধতি। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের ছাত্র-ছাত্রীর ফি গ্রহণসহ শিক্ষকদের বেতন পরিশোধ করা নিয়েও বেশ কিছু সমস্যার মধ্য দিয়ে যায়। এনালগ পদ্ধতিতে মূলত কোন কিছুরই তড়িত্ সমাধান আসে না এবং অনেক সময়ই তথ্য নির্ভুলতা নিশ্চিত করা সম্ভবপর হয় না। তাছাড়া ছাত্র-ছাত্রীদের প্রমোশন পদ্ধতি, বাত্সরিক রিপোর্ট কার্ড, ত্রৈমাসিকসহ অন্যান্য ফলাফল কার্ড প্রদানও এনালগ পদ্ধতিতে ঝামেলাদায়ক ব্যাপার। এই সকল কিছুর সমাধান করতেই স্মার্ট ক্যাম্পাস সফটওয়্যারটি উদ্ভাবন করা হয়েছে। ভর্তি থেকে শুরু করে পাশ করে বের হওয়া পর্যন্ত একজন ছাত্রের একাডেমিক সকল প্রকার তথ্য নথিবদ্ধ করার এক চমকপ্রদ সমাধান এনেছে বাংলাদেশের অন্যতম স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠান তৃতীয় লিমিটেড। তৃতীয় লিমিটেডের ১২জন কর্মদক্ষ সফটওয়্যার প্রোগ্রামারের অক্লান্ত পরিশ্র্রমের ফসল এই স্মার্ট ক্যাম্পাস সফটওয়্যারটি।
বর্তমানে ২১৫টি স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসাকে প্রতিষ্ঠানটি স্মার্ট ক্যাম্পাস সফটওয়্যারের আওতায় সার্বিক সহযোগিতা প্রদান করছে। বর্তমান সরকারের ভিশন ২০২১ ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার সাথে একাত্বতা প্রকাশ করে তৃতীয় লিমিটেড তাদের স্মার্ট ক্যাম্পাস সফটওয়্যারটি তৈরি ও বাজারজাত করছে। মূলত তৃতীয় লিমিটেড বিশ্বাস করে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়তে হলে একদম শেকড় থেকে শুরু করতে হবে, এর অর্থ হলো আমাদের দেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো যদি ডিজিটাল কার্যক্রমের আওতায় আসে তবেই দেশ অনেক ক্ষেত্রে ডিজিটাল কনভারশনের দৌড়ে একধাপ এগিয়ে থাকবে। বাজারে অনেক ধরনেরই স্কুল ম্যানেজমেন্ট সফটওয়্যার পাওয়া যায় কিন্তুস্মার্ট ক্যাম্পাস সফটওয়্যারটি একটু ভিন্ন। কারণ এই সফটওয়্যারটি মূলত আমাদের দেশের পাঠ্যক্রম ও শিক্ষা ব্যবস্থার উপর ভিত্তি করেই তৈরি করা হয়েছে।
স্মার্ট ক্যাম্পাস নিয়ে তৃতীয় লিমিটের ব্যাবস্থাপনা পরিচালক খালেকুজ্জামান খান বলেন,‘স্মার্ট ক্যাম্পাস তৈরির পিছনে বেশ কিছু জোরালো কারণ অবশ্যই ছিল। যার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে, ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নের স্বপক্ষে একাত্বতা।’ তিনি মনে করেন, দেশকে ডিজিটাল বাংলাদেশ করার ক্ষেত্রে আমাদেও দেশের ভবিষত্বেও কান্ডারী বর্তমানের শিক্ষার্থী যারা মাধ্যমিক/উচ্চ মাধ্যমিক পড়া কালীন সময় থেকেই নিজেদের অত্যাধুনিক প্রযুক্তির সাথে নিজেদের পরিচিত করতে পারে। অন্যদিকে, প্রতিষ্ঠানের গতানুগতিক কাজগুলোকেআরো দ্রুত ও স্বচ্ছ করারও একটা প্রয়াস। তাছাড়া, থানা শিক্ষা অফিসার কিংবা জেলা শিক্ষা কর্মকর্তাদের কাছে তথ্যাদি অতি দ্রুততার সাথে যেনও দেয়া সম্ভবপর হয় সেটিও নিশ্চিত করণ স্মার্ট ক্যাম্পাস তৈরির একটি অন্যতম কারণ। শিক্ষক/ অভিভাবক কিংবা শিক্ষক/ শিক্ষর্থীদের ভিতর যোগাযোগ মাধ্যম আরও তরান্বিত করাও স্মার্ট ক্যাম্পাস সফটওয়্যারের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ কারণ।
স্মার্ট ক্যাম্পাসে যুক্ত হয়েছে প্রযুক্তির নতুন কিছু বিষয় যা যে কোন স্কুল, কলেজ এর জন্য প্রয়োজনীয়। এই সকল সুবিধা ব্যাবহারে ও মানসম্পন্ন ব্যবস্থাপনায় প্রতিষ্টানগুলো ডিজিটাল বাংলাদেশ গঠনে এগিয়ে যাচ্ছে কয়েক ধাপ, হয়ে উঠছে অনন্য আকর্ষণীয়।
যেখানে কাজ করবে স্মার্ট ক্যাম্পাস
স্মার্ট ক্যাম্পাসের মাধ্যমে শিক্ষক, শিক্ষার্থী, থানা শিক্ষা অফিসার, জেলা শিক্ষা অফিসার এবং অভিভাবকসহ প্রতিষ্ঠানের পরিচালনা পর্ষদের গুরুত্বপূর্ণ সবাইকে একটা নির্দিষ্ট প্লাটফর্মে আনা সম্ভব হয়েছে। শিক্ষক কর্ণারে একজন শিক্ষক তার নিজস্ব ইউজার আইডি দিয়ে প্রবেশ করতে পারেন যে কোনও সময়, বর্তমান শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও ৩য়-৪র্থ শ্রেণির কর্মচারীদের ছবিসহ ডাটাবেসকরে রাখতে পারবেন। এবং যে কোনও শিক্ষক, শিক্ষার্থী এবং শিক্ষার্থীদের অভিভাবকদের সাথে যোগাযোগ করতে পারেন, অভিভাবক ও শিক্ষার্থীদের নিকট এসএমএস নোটিফিকেশন প্রেরণ করে। শিক্ষক, কর্মচারী ও শিক্ষার্থীদের প্রাত্যহিক হাজিরার তথ্য প্রদান, কোন শিক্ষক যদি অনুপস্থিত থাকে তাহলে শিক্ষক কর্ণারে গিয়ে তাকে এসএমএস করে রাখার ব্যাবস্থা আছে কেন সে অনুপস্থিত আসার সাথে সাথে যেন প্রতিষ্ঠানকে অবহিত করেন এবং শিক্ষক/ কর্মচারী তালিকায় তার নামের পাশে মাত্র একটি টিক চিহ্ন সেদিনের সে অনুপস্থিত জানা যাবে। অনলাইনে ভর্তি পরীক্ষা ব্যবস্থাপনা ও শিক্ষার্থী ভর্তি কার্যক্রম অনলাইনে পরিচালনা করার আছে সু ব্যবস্থা যা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষক খুব সহজেই করতে পারবেন। প্রতিষ্ঠানের সকল অভ্যন্তরীণ পরীক্ষার ফলাফল তৈরি করে প্রকাশ করতে পারবেন। যখন একজ শিক্ষার্থী এক ক্লাস থেকে উপরের ক্লাসে উত্তীর্ণ হবে তখন শুধুমাত্র ওই শিক্ষার্থীর ক্লাস ও শ্রেণি ইডিট করেই তার প্রমোশন দেয়া যাবে ডাটাবেসেই। শিক্ষার্থী কর্ণারে একজন শিক্ষার্থী তার নিজস্ব ইউজার আইডি দিয়ে প্রবেশ করে তার সড়ুলে উপস্থিতি, পরীক্ষার ফল এবং তার জন্য প্রয়োজনীয় সবকিছু জানতে পারবে। জানতে পারবে নোটিশবোর্ড, প্রতিষ্ঠানের সর্বশেষ সংবাদ, ক্লাস রুটিন, পাঠক্রমসহ শিক্ষাক্রমিক কার্যাবলী। অভিভাবক কর্ণারে গিয়ে একজন অভিভাবক তার সন্তানের পড়ালেখার সমস্ত খোঁজ নিতে পারবেন, পরীক্ষার ফিস, সড়ুলের মাসিক বেতন জেনে নিয়ে মোবাইল ব্যাংকিং এর মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের ফিস দিতে পারবেন এবং সাথে সাথে মানি রিস্বি প্রিন্ট করতে পারবেন।
স্মার্ট ক্যাম্পাস এর মাধ্যমে খুব সহজেই প্রতিষ্ঠানের ছাত্র-ছাত্রীদের উপস্থিতি অল্পসময়ের মধ্যেই লিপিবদ্ধ করা যায়। অনেক সময় হাজিরা খাতায় ছাত্র-ছাত্রীদের নাম তুলতে তুলতেই চলে যায় ১৫-২০ মিনিট কিন্তু স্মার্ট ক্যাম্পাস এর অত্যাধুনিক প্রযুক্তি সেই সময় কমিয়ে এনেছে ৩-৫ মিনিটে। আপনি প্রতিষ্ঠান থেকে যতোদূরেই থাকুন না কেন প্রয়োজন হলেই দেখে নিতে পারবেন কে উপস্থিত আছে আর কে নেই, আছে সেই ব্যাবস্থা।
স্মার্ট ক্যাম্পাস এর মাধ্যমে দিয়ে প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক, কর্মচারী, ছাত্র-ছাত্রী সকলের জীবন বৃত্তান্ত সুশৃংখলভাবে রাখা যাবে এবং যেকোন সময় পরিবর্তন, পরিবর্ধন, পরিমার্জন করা যাবে।শিক্ষক ও কর্মচারীদের সৃষ্টপদ, কর্মরত জনবল ও শূন্যপদের তথ্য।
স্মাার্ট ক্যাম্পাস এরঅনন্য মডিউল দ্বারা কোথাও না গিয়েই প্রতিষ্ঠানে বসেই করা যাবে প্রতিষ্ঠান সংশ্লিষ্ট সকল লেনদেন অতি সহজেই। বিভিন্ন জায়গায় গিয়ে আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া থেকে এবং যে কোনও ধরণের হয়রাণি থেকে বাঁচার সুচিন্তিত সমাধান এই স্মার্ট ক্যাম্পাস। শিক্ষক/কর্মচারীদের ছুটি ব্যবস্থাপনা, স্যালারি সিট তৈরি ও প্রতিষ্ঠানের অ্যাউন্টস নিয়মিত ভাবে এবং সুশৃংখলভাবে পরিচালনা করার এক কার্যকরী ব্যাবস্থার নাম স্মার্ট ক্যাম্পাস।
স্মার্ট ক্যাম্পাসের বিশেষ সুবিধা
স্মার্ট ক্যাম্পাসের অন্যতম বিশেষ মডিউলের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানের কোন ক্লাসে, কোন শিফটে কতোজন ছাত্র কতোজন ছাত্রী আছে, প্রতিষ্ঠানের সর্ব মোট ছাত্র-ছাত্রীর সংখ্যা, কতোজন ছাত্র কতোজন ছাত্রী তার তালিকা সুপরিকল্পিত একটা তালিকা করা যায়, তা ছাড়া কোন শিক্ষক কোন শিফটে কখন ক্লাস নেবে তার তালিকা করে প্রতিষ্ঠানের সকল কার্যক্রমকে সুশৃংখল এক কার্য পদ্ধতির আওতায় নিয়ে আসা যায়। প্রতিষ্ঠানের কার্যনির্বাহী পর্ষদ/একাডেমিক কাউন্সিলের পরিচিতি, ওয়েবসাইটে অনলাইন ভিজিটর ও মোট ভিজিটর কাউন্টার তত্ত্বাবধান করা, প্রতিষ্ঠানের ইতিহাস, ভৌত অবকাঠামো, মাস্টারপ্লান, একাডেমিক ক্যালেন্ডার, ছটির তালিকা ও ক্লাস রুটিন করে প্রকাশ করার ব্যাবস্থা এবং তা শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবক নিজস্ব কর্ণারে গিয়ে দেখার সে মোতাবেক প্রস্তুতি নেয়ার সুযোগ পেয়ে থাকে, যার ফলে প্রতিষ্ঠান ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে নিয়ামুনবর্তিতার এক সুন্দর সমন্বয় গড়ে উঠে।
এই অত্যাধুনিক স্মার্ট ক্যাম্পাস ব্যাবস্থাপনার মাধ্যমে সড়ুল কলেজ এর সকল পরীক্ষার যাবতীয় কার্যক্রম পরিকল্পিত ও সুশৃংখল ভাবে এবং খুব সহজেই করা যায়।
স্মার্ট ক্যাম্পাস যা করতে পারে
স্মার্ট ক্যাম্পাস এর উন্নত প্রযুক্তি প্রতিটি প্রতিষ্ঠানকে করে তুলেছে আধুনিক আরো স্বয়ংসম্পূর্ণ। এর মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানটি পরীক্ষার পর ছাত্র-ছাত্রী কোন বিষয়ে কত পেয়েছে, লিসেনিং, রাইটিং, রিডিং এ কত পেয়েছে ক্রমানুসারে খুব সহজেই প্রকাশ করা যায়। ছাড়পত্র, প্রশংসাপত্র, প্রত্যয়নপত্র, টটলিষ্ট ইত্যাদি তৈরির ব্যবস্থা আছে এই স্মার্ট ক্যাম্পাস সফটওয়্যারে। আছে অলাইনে ডাউনলোডের সুবিধা, শিক্ষক, শিক্ষার্থী, অভিভাবক কর্ণার। আছে প্রয়োজনীয় ও গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন ওয়েবসাইটের লিংক। স্মার্ট ক্যাম্পাস সফটওয়্যারটিতে আছে বিভিন্ন সাংসড়ৃতিক অনুষ্ঠান বা প্রতিষ্ঠানের সুন্দর প্রাকৃতিক দৃশ্য সবার কাছে প্রকাশ করার জন্য ফটো গ্যালারী। এই স্মার্ট ক্যাম্পাসে প্রতিষ্ঠান প্রধান তার প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে বা যে কোনও দিবস উপলক্ষে তার বাণী প্রকাশ করতে পারবেন, অভিভাবক, শিক্ষার্থী বা যে কেই প্রয়োজনে যেন তাকে ই-মেইল এর মাধ্যমে যোগাযোগ করতে পারবেন।
website: http://tritiyo.com/
কোন মন্তব্য নেই