ঢাকার লাইফ: ৩য় পর্ব
Samrat Khan: মাথায় প্রচুর নেশা চাপলো ব্লগস্পট নিয়া ঘাটাঘাটি যখন শুরু করেছিলাম। রাত দিন ওটা নিয়াই পরে থাকতাম। টানা ১৭-১৮ ঘন্টা কম্পিউটারের সামনে বসে বসে মেলা কিছু উদ্ধার করার চেষ্টা। ছোট খাটো কোড পরিবর্তন করেই দারুণ পুলকিত হই। জুমলা তখন সেই পপুলার সিএমএস (ওয়েবসাইট কন্টেন্ট ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম)। আমার এখনো মনে আছে, আমি জুমলা (Joomla) বানান লিখেছিলাম jumla। গুগলসার্চে। বাবা মার সাথে থাকতাম। তাই অনেক কিছুই টের পেতাম না। আমারও কিছু ভিমরতি ধরেছিল সে সময়। যতক্ষণ কম্পিউটারে থাকতাম ততক্ষণ নেটের তারের ভিতর দিয়া টাকা বাইর করার ধান্দা। কত বোকা ছিলাম মনে পরলে নিজে নিজেই হাসি। গুগল এডওয়ার্ডের এড চালায় দিয়া মাকে বলছিলাম, দেখছো কত টাকা আসতেছে। আসলে যে যাচ্ছে, সেটার তফাৎটাই বুঝতে পারিনি সে সময়।
কিছুদিন পর সাইট বানাইলাম। এদিকে ঘরে বসে আতিক ভাইয়ের দেয়া ডাটা এন্ট্রির কাজটায় আর মন বসাতে পারছিলাম না। এই অনলাইন ইনকাম পদ্ধতির কারণে ইত্তেফাকের জবটাও ছেড়ে দিলাম। এদিকে আমিও খুব একটা কাজ করছিলাম না। শুধু সিফাতই ডাটা এন্ট্রির কাজ করতো। মাও মাঝে মাঝে আমার কাজের প্রক্সি দিত। আমার আর কিবোর্ড পিটাইতে ভালো লাগতো না। সিফাত মাস খানেকের ভিতর আমার উপর চটে গেল। আমি কেন কাজ করি না। কেন জব ছেড়ে দিলাম। কেন সবাইকে ঢাকায় আনলাম। ইত্যাদি ইত্যাদি। মাঝে মাঝে মিথুন (Fuad Hassan Mithun) থিকা ধার নেই। কোন কোন ধার আবার অফেরতযোগ্য ধার। বাসায় প্রায়ই এটা ওটা নিয়া লেগে যেত। বিশেষ করে ঘরে টাকা না থাকলে যা হয়। টানা ১৭ - ১৮ ঘন্টা পিসির সামনে বসে থাকতাম। আমার ব্যস্ততা দেখে। প্রায় মা খাইয়ে দিত। এর মাঝেই হঠাৎ আমার পিসিটা কাইত হইয়া গেল। আমি আবারো হতাশ হতে থাকলাম। কম্পিউটার নাই। সিফাতও এমন আচরণ শুরু করলো যা অসহনীয় ছিল। এই মুহুর্তে তা বলার ভাষা নাই। বা বলতেও চাচ্ছি না।
মাঝে মাঝে মিথুন আর আমি কাউয়া বিরিয়ানি খাই। ওর সাথে আড্ডা মারি। ওর কাছে আমার মন ভালো করে ফেলার ওষুধ ছিল। দ্রুতলয়ে জোকস বলত। অল্প কিছু শুনালেই মন ভালো হইয়া যাইত। ও সব সময় বলতো পরিবারের অশান্তি ঠিক হয়ে যাবে। টেনশন নিস না।
সিফাত আর মার হতাশা বাড়তে থাকলো। এইসব দেখে পাশের বাসার আন্টির পরামর্শে একদিন মা আমাকে কাওরানবাজার পাঠালো। আন্টির স্বামী, সন্তান ভাই মিলিয়ে গোটা সাতেক মানুষ কাওরানবাজারের বিভিন্ন কিছুর ব্যবসা করে। কাজটা রাতের বেলার। সারারাতই বিভিন্ন জেলা থেকে এখানে পণ্য আসে। ওনারা কেনে আবার আরেক পার্টির কাছে বিক্রয় করে। ওনাদের ডিবি (বাজারে উঁচু জায়গা) নেয়া আছে। একরাতে জনপ্রতি ইনকাম সর্বনিম্ন ১৫০০ টাকা। খুবই লাভজনক ব্যবসা। আমি করলেতো খারাপ হয়না, তাই অগত্যা। আসলে মার কিছু করার ছিলনা। আব্বা একা পেরে উঠছিল না। পারবে কিভাবে। একটা দোকানের চাকরিতে আর কতই দেয়। সকাল ৬ টায় বের হইত। রাত ৯ টায় ফিরত। লোকটার মুখের দিকে তাকাইতে পারতাম না।
কাওরানবাজার গেলাম, রাত ১০:৩০। আন্টির ছেলে (নাম মনে নেই) যেতে যেতেই বললেন আপনি কি কাজ করতে পারবেন? আমি বললাম জ্বী পারবো। ১১ টার দিকে একটা ট্রাক আসলো। আলু কিংবা পেঁয়াজ ছিল। আসতে আসতেই সবাই ভোঁ দৌড়। সবাই ট্রাকের কাছে। দরদাম শুরু হলো। আমি দাড়ায় দেখছি। কিছুক্ষণের মধ্যেই আংকেল তিনটা বস্তা কিনে ফেললেন। এইবার ঐ গুলা ডিবিতে আনতে হবে। আংকেলের শ্যালক একটা টপাটপ কাঁধে নিয়া নিলেন। আংকেলের ছেলেও একটা নিলেন, এইবার আমার পালা। আমিও নিলাম। সম্ভবত ১ মণের বস্তা। নিয়ে আগাইলাম। কষ্ট হচ্ছিল। বাপের জন্মেও এতো ভারী বস্তা আমি কাঁধে উঠাই নাই। কান্না পাচ্ছিল। কিন্তু সিফাতের যন্ত্রণা থেকে বাঁচতে হলে এর চেয়ে ভালো উপায় আপাতত নাই।
সারা রাত থাকলাম। রাতে প্রায় পনের থেকে বিশটা বস্তা। একেকটার একেকরকম সাইজ। ভোরের দিকে শরীর আর দিচ্ছিলো না। তাই আযানের পর পর চলে এলাম। সারা রাতে আমার ইনকাম ৩৮০ টাকা (বা এর থেকে কিছু কম)। আসলে একেক জনে বস্তা টেনেছে ৩০ থেকে ৪০ টা। আর ডিবি উনাদের। উনাদের কাজ কেনা আর বিক্রয় করা। উনাদের লাভ বেশি। পরের দিন আবার গেলাম রাতে। একই রকম কাজ। অসহনীয় ব্যাথা শরীরে। তার চেয়েও বেশি বুকে। তার থেকেও বেশি সম্মানে। সব থেকে বড় কথা প্রতিদিন আমার পারদর্শীতা না বেড়ে কমলো। শেষ দিন আমি ৪ - ৫ টা বস্তা নিতে পেরেছিলাম। ওখানে অনেকেই আমাকে দেখে বলতো এই ছেলের বংশের কেউ এই ধরণের কাজ পয়সা ইনকামের জন্য করছে বলে মনে হয় না। তিনদিন যাওয়ার পর মনে মনে ঠিক করলাম। এই কাজটা আমার না। মনে মনে ঠিক করলাম টাকা ধার নিব, ল্যাপটপ কিনবো। নিলাম খুব আপন একটা মানুষ থেকে ধার। কিনলাম ল্যাপটপ। ডাটা এন্ট্রি করি। প্রোগ্রামিং শিখি। জুমলার থিম কাস্টমাইজ করি। টুকটাক ওয়ার্ডপ্রেস নিয়াও ঘাটাঘাটি করি।
এই সময়ের কিছু কথা আমি আগেও একবার লিখেছিলাম। শুধু কপি করছি। যারা আগে পড়েছেন তারা স্কিপ করতে পারেন।
"ঐসময় ফ্রিলান্সিংয়ের সাথে আমার পরিচয়। ২০০৮ এর নভেম্বর অথবা ডিসেম্বর মনে নেই। জীবনের প্রথম অনলাইন ইনকাম হাতে পাই। টাকাটা অল্পই ছিল। খরচাদি বাদ দিয়া হাতে এসেছিল ৫৭০০। অসম্ভব ভালো লাগছিল। সেটা বিভিন্ন জায়গায় বলা শুরু করলাম। কাজ করতে থাকলাম। ২০০৯ এর শেষের দিকে হঠাৎ করেই এক বড় ভাই (প্রসঙ্গত তার নামটা আমি উল্লেখ করছিনা) আমাকে একদিন ডেফোডিল ইউনিভার্সিটি, সোবহানবাগ শাখায় আমাকে যেতে বলেন আমার ইনকাম স্টোরি শোনাতে। আমিও চলে গেলাম। ৩০ - ৪০ মিনিট স্পিচ দিয়া আমি ৫০০০ টাকা পাইলাম। এরপর টানা ৫ মাসের মত বিভিন্ন জায়গায় আমার ডাক পরতে থাকলো নিয়মিত, এটিএন বাংলার আইটি জোন থেকে আমাকে ডাকা হলো, গেলাম। আমি অল্প দিনেই মোটামুটি মানের সেলেব্রিটি বনে গেলাম। প্রচুর লোকজন আসা শুরু করলো আমার কাছে। প্রচুর ফোন আসতো প্রতিদিন। ২০-৩০ টা ফোন মিনিমাম। আমার ফ্রেন্ডলিস্টে অনেকেই এখনো আছে। কারো নাম উল্লেখ করছিনা। আশা করি আমার লেখা পরলে তারা কমেন্ট করবেন।
যাইহোক আমিতো তখন পুরা দমে বিভিন্ন জায়গায় স্পিচ দেই। টাকা আসছে প্রতি সপ্তায়। দু তিনটা স্পিচতো দেই এক সপ্তাহে। গড় পড়তা ১০ হাজার দেয় প্রতিটা। টাকা ইনকাম করতে কার না ভালো লাগে। আমারও লাগতো। কিন্তু আসল লাগামটা ধরলেন আমার বাবা।
আসলে আমি মাঝে মাঝে বিরক্ত হতাম বা ঘুমাইতাম তখন আমার বাবা বা মা’ই আমার ফোন প্রায় রিসিভ করতো। যথারীতি একদিন ফোন রিসিভ করলো বাবা। অপর প্রান্ত থেকে #শফিকুলনামের একজন বললেন, আংকেল আমি নাখালপাড়া রেইলগেট আসছি ইতোমধ্যে। আপনাদের বাসাটা কই? আমি সম্রাট ভাইয়ের সাথে দেখা করতে আসছি। আমি ঘুমিয়েছিলাম। বাবাই গিয়ে ওনাকে নিয়ে আসছেন। বাসায় আসার পর প্রায় ১:৩০ মিনিট সময় ভদ্রলোক বাবার সাথে কথা বলেছেন। মাস তিনেক হলো তিনি ট্রাই করে যাচ্ছেন কিন্তু কোন একটা রেসপন্স বা ইনকাম উনার আসে নাই। এদিকে উনি ১৬ হাজার টাকা বেতনের মুসলিম সুইটসের ম্যানেজারের চাকরিটাও ছেড়ে দিয়েছে। এখন এক ছোট মেয়ে, মা ও বউকে নিয়ে ঢাকায় থাকাটাই দূরহ হয়ে গেছে। বলে নেই এই #শফিকুল ভাই হচ্ছেন আমার একদম ফার্স্ট সেমিনারের ক্লায়েন্ট। আমার না, আসলে যারা আয়োজন করেছিলেন। আমার এখন মনেও নেই কারা আয়োজন করেছিলো। শুধু ঐ ভাইয়ের নাম মনে আছে।
যাইহোক, শফিকের ঘটনার পর থেকে আমার বাবা আমাকে মোটিভেশনাল বিক্রেতা হওয়া থেকে বাঁচিয়েছেন। আমি আর পরবর্তিতে আর এই ধরনের কোন সেমিনারের টাকার বিনিময়ে নিজেকে বিক্রি করি নাই।"
হঠাৎ মহন ভাইয়া ও নির্জনা ভাবী (Nirjona Amin) ঘাটাইল চলে যাবার প্রস্তুতি নিল। ইতোমধ্যে আমরাও ভাইয়া ভাবীর রুমটা সাবলেট ভাড়া দেয়ার প্রস্তুতি নিলাম। এদিকে আব্বার কারণে আমি সিমিনার করা বন্ধ করে দিলাম। কেউ ডাকলেও যেতাম না। টুকটাক আউটসোর্সিং করি ওডেক্স থেকে। সংসারের অভাব আবার বাড়তে থাকলো। সাথে সাথে সংসারের স্বভাব স্বাভাবিকতা হারালো। সিফাতের তালগোল পাকানোর সাথে যুক্ত হলো নাখালপাড়ার কেরাম কোরাম। অগত্যা বাপ বেটা একদিন রেললাইন ধরে হাটলাম। পরামর্শ করলাম। কি করা যায়। ঘন্টা দুয়েক হাটলাম একসাথে। সংসারের অভাব ও স্বভাবের এই বেড়াজাল থেকে কিভাবে বের হবো তা নিয়ে। সিদ্ধান্ত নিলাম মা আর সিফাত বাড়ি যাবে। কারণ সিফাত তার পড়াশোনা অনেক আগেই শিকেয় তুলেছিল। বাবা শুধু বলল তোর পড়াশোনাটা অন্তত শেষ কর। মাও রাজি হল। মা আসলে সায় দিল। মা সিফাত বাড়িতে গেল। আমি আর আব্বা বাসা নিলাম লালকুঠি বড় মসজিদ।
দুইজন মানুষের সাথে একটু পরিচয় করিয়ে দেই। একজন আসিফ (Asif Kaium Rahman)। আমার কাছে জুমলা শিখতো। আরেকজন শ্রদ্ধাভাজন, বড় ভাই, বন্ধু ওমর (Mohammed A Rahman Omar) ভাই (উনার সাথে আমার পরিচয় আতিক ভাইয়ের মাধ্যমে। অসম্ভব সুদর্শন মানুষ) নাখালপাড়া থাকাকালীন সময়ই ওদের সাথে আমার পরিচয় হয়।
বাপ বেটা লালকুঠিতে একটা ছোট রুম নিলাম। আসিফ আমার ছোট হলেও খুব কাছের। বন্ধু ছিলাম। ব্যক্তিগত অনেক বিষয়ই একে অপরকে বলতাম। ছেলেটা নম্র ভদ্র। আমাকে অনেক সম্মান দিত। আমার মিথ্যে কথা গুলাও ও বিশ্বাস করত। ওর সাথে আমার পরিচয় হয় ওয়ালিয়ুর রহমান (Waliur Rahman) ভাইয়ের মাধ্যমে।
আসিফ প্রায় লালকুঠি আসতো। কাজ শেখার জন্য। আড্ডা মারতে। আমি তখন একটা অস্ট্রেলিয়ান মহিলার ওয়ার্ডপ্রেসের সাইটের কাজ করি। নিজের একটা ব্লগ বানাই। একদিন আতিক ভাই ও ওমর ভাই আসলো। ওনারা ব্যবসা করবে বলল আমাকে। সাথে আমাকে রাখবেন। এদিকে আমি আর আসিফও প্ল্যান করেছিলাম ব্যবসা করার। আমি তখন মোটামুটি কাজ পারি আতিক ভাই অল্প বিস্তর প্রোগ্রামিং পারেন। এই তখন আমাদের টিমের সম্বল। পাহাড় সমান স্বপ্ন আছে। পর্বত সমান আবেগ। এগিয়ে গেলাম সবাই। মোট পাঁচজন। আমি, আসিফ, আতিক, ওমর ও সুমন (Sultan Mirza)। সুমন ভাই ছিল কাদা মাটির মানুষ। আমরা একটা বিজনেস ফর্ম করলাম। সত্যি বলতে আমার তখন শুধু ইত্তেফাক আর ডাটা এন্ট্রির অফিসে কাজ করা ছাড়া আর কোন অভিজ্ঞতা নাই ঝুলিতে। জানতাম না একটা অফিস কিভাবে চালায়। অফিস ও নাম ঠিক করার আগেই একটা কাজ পেয়ে গেলাম। আতিক ভাই ও ওমর ভাই কাজটা ধরলেন।
নুরজাহান রোডে একটা রুমে আমাদের অফিস। সবাই কিছু কিছু ইনভেস্ট করলাম। চেয়ার হলো টেবিল হলো। আর হিজহুজ ভিত্তিতে কম্পিউটার। আমরা নিজেরা কাজ শিখি। কাজ করি। আসলে একটা অফিস কিভাবে চলে তাই জানতাম না। কিন্তু শুরু করেছিলাম। কিছু কিছু কোর্স করাই। দু একটা করে কাজ করি। এইভাবেই চলল অনেকদিন। একেক সময় একেক প্ল্যান করি। কিছুদিন খুব খাটি সবাই। আবার একই অবস্থা। ধীরে ধীরে আমার অবস্থা যাতা হতে থাকলো। আমি আর সুমন ভাই কাজ শিখি। সুমন মেধাবী মানুষ। ও খুব তাড়াতাড়ি অনেক এগিয়ে গেল। আমিও টুকটাক নিজেকে ডেভেলপ করলাম। আতিক ভাই আর ওমর ভাই অন্য একটা কাজও নিলেন নিরুপায় হয়ে। ওনারা প্রায়ই আমাকে ধার দিত। স্বপ্নবাজ মানুষ আমি। মেলা স্বপ্ন দেখছি। কিন্তু যাদেরকে তখন টপকাইতে চাইতাম। তাদের সামনে আমাদেরকে অণুবীক্ষণ যন্ত্র দিয়েও দেখার উপায় ছিলনা।
আমাদের আত্নার সম্পর্ক থাকলেও, আমার অভাবের কারণে, দূরত্ব আর ক্ষোপ বাড়তে থাকল। এরপর একদিন ওমর ও আতিক ভাই একটা ডাটা এন্ট্রির কাজ আনলেন। মোটামুটি বড়সড় কাজ। আমরা সবাই মিলে করলাম। সে সময়কার অনেক বিষয়ই আমাদের ভিতর দূরত্বের সৃষ্টি করল। এক বছরের একটা লম্বা ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের ইতি টানলাম কিছু কথা কাটির মাধ্যমে। আসলে কারোর দোষগুণ ব্যাখ্যা করবো না। শুধু বলবো আমরা তখনও ব্যবসা বুঝতাম না। কিন্তু আমরা ব্যবসায়ী হয়েছিলাম। শুধু স্বপ্ন আর আবেগ দিয়ে ব্যবসা হয়না। আর যথোপযুক্ত কর্মদক্ষতা না থাকলেতো কোনভাবেই সম্ভব না। আমাদের ঝুলিতে কিছুই ছিলনা। না ছিল দক্ষতা, না ছিল নিজেদের ক্রোধ আর ইগো নিয়ন্ত্রনের ক্ষমতা। ছিল শুধু বস্তা ভর্তি আবেগ। আজ আমি শুধু ওনাদের কাছে ক্ষমাপ্রার্থী আর শুধু বলবো ওনাদেরকে আমি আজও ভালোবাসি ও সম্মান করি।
চলছে...
কোন মন্তব্য নেই