Tritiyo Limited

height="90"

Breaking News

উপমহাদেশে ব্যর্থ হয়ে অ্যাশেজে ‘যুদ্ধে’র ডাক




উপমহাদেশ সফরটা একেবারেই ভালো হয়নি অস্ট্রেলিয়ার। বাংলাদেশে দুই টেস্টের সিরিজ জেতা হয়নি। চট্টগ্রামে জিতলেও হারতে হয়েছে ঢাকায়। বাংলাদেশ থেকে ভারতে গিয়েও সীমিত ওভারের সিরিজে ব্যর্থতার বৃত্তেই আটকে ছিল তারা। হারতে হয়েছে ওয়ানডে সিরিজ। টি-টোয়েন্টি সিরিজটা ১-১ ড্র করাটাই যা সান্ত্বনা অস্ট্রেলিয়ার। সামনেই অ্যাশেজ। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে মর্যাদার লড়াই। উপমহাদেশ থেকে ব্যর্থ হয়ে দেশে ফিরে সেটাতেই পাখির চোখ অস্ট্রেলীয় ক্রিকেটারদের। ডেভিড ওয়ার্নার তো একধাপ এগিয়ে রীতিমতো যুদ্ধের ডাকই দিয়ে দিলেন।
অস্ট্রেলিয়ায় ২০১৩-১৪ অ্যাশেজেও কথার লড়াইয়ে নেমেছিলেন ওয়ার্নার। সেবার ইংলিশদের ৫-০-তে হারিয়ে আতিথেয়তা দিয়েছিল অস্ট্রেলিয়া। এবারও তেমন কিছুর প্রত্যাশা অস্ট্রেলিয়ার। তবে প্রতিপক্ষের বিচারে ইংল্যান্ড এখন অনেক শক্তিশালী হলেও অস্ট্রেলিয়া ‘যুদ্ধ যুদ্ধ’ ভাবটা বজায় রাখতেই চায়। ওয়ার্নার মনে করেন, এই সিরিজে ইংলিশদের প্রতি ‘ঘৃণা’ থাকাটা খুব জরুরি। সিরিজটিও তাঁর কাছে যুদ্ধই। এবিসি গ্র্যান্ডস্ট্যান্ডকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ওয়ার্নার অ্যাশেজ সিরিজে ‘ঘৃণা’ আর ‘যুদ্ধ’কেই তুলে ধরেছেন, ‘মাঠে নামার পর অ্যাশেজ কিন্তু যুদ্ধ। আপনি যত তাড়াতাড়ি সম্ভব এই যুদ্ধে অংশ নেওয়ার চেষ্টা করবেন। আমি বিপক্ষের খেলোয়াড়দের চোখের দিকে তাকিয়ে ওদের ঘৃণা করার কথাই ভাবি। জয় ছাড়া আর কোনো ভাবনা আমার মধ্যে থাকে না। ভেতরে এই স্ফুলিঙ্গ না থাকলে আপনি ওদের চ্যালেঞ্জ করতে পারবেন না।’
২০১৩-১৪ সালের সেই সিরিজে ব্রিসবেন টেস্টের আগে ইংলিশদের ‘ভয়ার্ত চোখ’ দেখেছিলেন ওয়ার্নার। মিশেল জনসনের আগুনে বোলিংয়ে ম্যাচ জিতেছিলেন অধিনায়ক মাইকেল ক্লার্ক। দ্বিতীয় ইনিংসে ইংলিশ ব্যাটসম্যান জোনাথন ট্রটের আউটকে ‘দুর্বল’ ও ‘দৃষ্টিকটু’ বলেছিলেন ওয়ার্নার। পরে অবশ্য ক্ষমা চেয়েছিলেন।
এবার অবশ্য মাঠেই মুখ খুলবেন বলে জানিয়েছেন তিনি। এবার ইংলিশ ক্রিকেটাররা নাকি বুঝবেন, ওয়ার্নার নিজে কতটা ভদ্র (!)। দুর্দান্ত ফর্মে থাকা ইংল্যান্ডের বিপক্ষে জিততে হলে অস্ট্রেলীয়রা মরিয়া হয়েই নামবে—এটা ওয়ার্নারের কথাতেই স্পষ্ট। বাংলাদেশ-ভারতে দুঃস্বপ্নের মতো সফর অ্যাশেজ দিয়েই ভুলতে চায় ওয়ার্নার বাহিনী।
অ্যাশেজের আগেই ‘যুদ্ধ’টা তাহলে শুরু হয়ে গেল।

কোন মন্তব্য নেই