Tritiyo Limited

height="90"

Breaking News

ফ্লোরিডার উপকূলে এসে শক্তি বাড়াচ্ছে ইরমা

কিউবা পেরিয়ে ঘূর্ণিঝড় ইরমা এখন ফ্লোরিডার উপকূলে। আশঙ্কার বিষয় হচ্ছে, ফ্লোরিডার দিকে অগ্রসর হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে শক্তি বাড়ছে ইরমার। এরই মধ্যে বাতাসের তীব্রতার ছাঁট লাগতে শুরু করেছে মার্কিন অঙ্গরাজ্যটিতে। ফ্লোরিডার উপকূলে ঝড়টি কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই আঘাত হানবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এ সময় এর বাতাসের সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ২০৯ কিলোমিটার হতে পারে বলে আশঙ্কা করছে আমেরিকার ন্যাশনাল হারিকেন সেন্টার।
আজ রোববার ফ্লোরিডায় ইরমা আঘাত হানবে বলে ন্যাশনাল হারিকেন সেন্টার আগে থেকেই পূর্বাভাস দিয়েছিল। সে পূর্বাভাসকে সত্য প্রমাণ করে এরই মধ্যে ঝোড়ো বাতাসের তীব্রতা বেড়েছে। একই সঙ্গে বেড়েছে সাগরের ঢেউয়ের উচ্চতাও। এরই মধ্যে ফ্লোরিডার ৬৩ লাখ মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়কেন্দ্রে সরিয়ে নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এ হিসাবে অঙ্গরাজ্যটির ৩০ শতাংশ মানুষই ইরমা আক্রান্ত হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। সবচেয়ে বেশি হুমকির মুখে রয়েছে ফ্লোরিডার ‘কি’ নামে পরিচিত ছোট ছোট দ্বীপগুলো। একই সঙ্গে টাম্পা বেসহ উপকূলবর্তী এলাকাও যথেষ্ট ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে বলে জানিয়েছে হারিকেন সেন্টার। ঝুঁকিতে রয়েছে টাম্পা ও সেন্ট পিটার্সবার্গ শহরও।
ফ্লোরিডার গভর্নরসহ সরকারি কর্তৃপক্ষ বেশ কয়েকবার ইরমার ভয়াবহতা সম্পর্কে সতর্ক করেছে। সে সময় এক বিবৃতিতে ফ্লোরিডার গভর্নর রিক স্কট বলেন, ‘আপনার অবস্থান ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় হলে দ্রুততার সঙ্গে নিরাপদ স্থানে আশ্রয় নিন। আমাদের হাতে খুব বেশি সময় নেই।’ কিন্তু এরপরও বেশ কিছু মানুষ এখনো ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় অবস্থান করছে বলে বিবিসির এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে। এখন পর্যন্ত ৫০ হাজার মানুষ আশ্রয়কেন্দ্রের শরণাপন্ন হয়েছে। আশ্রয়কেন্দ্রের ধারণক্ষমতা কম হওয়ায় অনেকে ফিরে গেছে বলেও জানিয়েছে সংবাদমাধ্যমটি। এ অবস্থায় সর্বশেষ বিবৃতিতে তিনি বলেন, ‘আর সময় নেই। যারা ঘরে আছেন, তাঁরা ঘরেই কোনো নিরাপদ স্থানে থাকুন। কোনো অবস্থাতেই জানালার কাছে নয়।’ ইতিমধ্যে প্রায় দুই লাখ বাড়ির বিদ্যুৎ-সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়েছে। এর মধ্যে শুধু মায়ামির ডাডে কাউন্টির স্থাপনাই রয়েছে ১ লাখ ৬৪ হাজার।
এ বিষয়ক বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই ইরমার মূল আঘাত হানার কথা বলা হলেও ফ্লোরিডার দক্ষিণাঞ্চলে ঝড়টির প্রভাব এখনই টের পাওয়া যাচ্ছে। পুরো মায়ামি ঘূর্ণিঝড়টির শক্তির নমুনা এরই মধ্যে প্রত্যক্ষ করেছে ভারী বৃষ্টিপাত ও ঝোড়ো হাওয়ার মধ্য দিয়ে। ছোট দ্বীপগুলোয় কিছু ক্ষতি হলেও মূল ধ্বংসলীলা এখনো শুরু করেনি ইরমা। ইরমা মোকাবিলায় মায়ামি শহর ও ব্রোওয়ার্ড কাউন্টিতে কারফিউ ঘোষণা করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত বুধবার ক্যারিবিয়ান দ্বীপপুঞ্জে প্রথম আঘাত হানে ইরমা। এখন পর্যন্ত ইরমার প্রভাবে ২৬ জনের মৃত্যুর কথা নিশ্চিত হওয়া গেছে। শুরুতে এটি ৫ মাত্রার ঝড় হিসেবে আঘাত হানলেও পরে এর শক্তি কিছুটা কমে আসে। শনিবার ঝড়টি ৫ মাত্রা নিয়ে কিউবায় আঘাত করার পর ৪ মাত্রার শক্তিমত্তা নিয়ে ফ্লোরিডার দিকে অগ্রসর হয়। ক্রমে এর শক্তি কমে আসবে বলে ধারণা করা হলেও ফ্লোরিডার যত কাছে যাচ্ছে, ঝড়টির শক্তি ততই বাড়ছে। তবে ফ্লোরিডার মূল ভূখণ্ডে এটি পূর্ণশক্তিতে আঘাত করবে না বলে আশা করছেন আবহাওয়াবিদেরা।

কোন মন্তব্য নেই